ষাটের দশকের শেষের দিকে তদানীন্তন পাকিস্তান সরকার কর্তৃক ঢাকা শহরে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপনের উদ্দেশ্যে বর্তমান স্কুল ভবনটি নির্মিত হয়। কিন্তু দেশে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ায় বিদ্যালয়ের কার্যক্রম সঠিক সময়ে শুরু করা সম্ভব হয়নি। স্বাধীনতার এক যুগেরও পর স্থানীয় জনগণের আগ্রহ ও তদানীন্তন শিক্ষা সচিব জনাব কাজি বাহার আলির আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলশ্রুতিতে ১৯৯৯ সালে ২০ জানুয়ারি ইংল্যান্ডের বিখ্যাত পাবলিক স্কুলের অনুকরণে রংধনু আদর্শ স্কুল নামে একটি পূর্ণাঙ্গ বিদ্যালয় হিসাবে চালু করা হয়। একই বছরে কলেজ সেকশনের কার্যক্রম শুরু হয় এবং ২০০১ সালের ১ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রজ্ঞাপন জারি করে প্রতিষ্ঠানটির নতুন নামকরণ করা হয় রংধনু আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়। এরপর ২০০১ সালের ১৮ আগস্ট প্রজ্ঞাপনটি বাংলাদেশ গেজেটে প্রকাশিত হয়।
উপমহাদেশের প্রথম আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঢাকা কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৪১ সালে। প্রাচীন ও এঁতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই কলেজই বিদ্যার্থীদের সম্মুথে পাশ্চাত্যের কলাবিদ্যা, বিজ্ঞান এবং দর্শনকে উন্মোচিত করেছিল। কালজয়ী এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেই এই উপমহাদেশে শুরু হয়েছিল আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার পথ চলা। কালের আবর্তে প্রায় পৌনে দুই শতাব্দী পেরিয়েছে এঁতিহ্যের ঢাকা কলেজ। এই দীর্ঘ সময় জুড়ে শুধু শিক্ষা কার্যক্রমেই নয় বরং শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মনস্তাত্বিক বিকাশে সহশিক্ষা কার্যনত্রমেও সমানভাবে শিক্ষার্থীদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে ঢাকা কলেজ। যুগের পরিক্রমায় শিক্ষার পাশাপাশি সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবা কার্যক্রমের সাথে তরুণ প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ বর্তমানে অনস্বীকার্য হয়ে উঠেছে। কিন্তু নানা বাধা-বিপত্তির কারণে সহশিক্ষামূলক কার্যক্রমে তরুণ প্রজন্ম অংশগ্রহণ করতে পশ্চাদপদ।